অদ্ভুতভাবে গাজা ও ইসরাইলের যুদ্ধ এখন ইসরাইল ও ইরানের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। কোনো পক্ষই যুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না। ইসরাইলের পর পর আক্রমনে আত্মগোপন করেছিলেন সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ। তারপরে হঠাৎ তিনি প্রকাশ্যে এসেই হুমকি দিলেন ইসরাইলকে। ২০২০ সালের পর এই প্রথম ধর্মীয় ভাষণ দিলেন খোমেইনি। সেখানেই বললেন, “ইজরায়েল আর বেশি দিন টিকবে না”। ইজরায়েলের উপরে মিসাইল হামলার পরই শঙ্কা, যেকোনও মুহূর্তেই ইরানের উপরে প্রত্য়াঘাত হানতে পারে। এদিন সেই হামলার শঙ্কা উড়িয়েই তেহরানের মসজিদে হাজির হন ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলি খোমেইনি। তিনি বলেন,”ইজরায়েলের উপরে হামলা নায্য ছিল।” স্বাভাবিক কারণেই মনে হচ্ছে, এবার সামনা সামনি যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে।
তিনি প্রকাশ্যে বলেন, হামাস বা হিজবুল্লার বিরুদ্ধে জিততে পারবে না ইজরায়েল। হিজবুল্লার প্রয়াত প্রাক্তন প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ-র প্রশংসাও করেন তিনি। খোমেইনি বলেন, “সইদ হাসান নাসরাল্লাহ আজ আমাদের সঙ্গে নেই। তবে ওঁর আত্মা ও দর্শন আমাদের সর্বদা অনুপ্রাণিত করবে। জিওনিস্ট শত্রুর বিরুদ্ধে সর্বদা রুখে দাঁড়িয়েছিল। ওঁর আত্মবলিদান ব্যর্থ হবে না, আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতেই হবে।” এই হুমকির পরেই ইসরাইল নিজেদের খাঁটি আরও সাজিয়ে তোলা শুরু করেছে বলে খবর। সঙ্গে সঙ্গে তিনি একটি সাম্প্রদায়িক বার্তাও দিয়েছেন। ইরানের সুপ্রিম লিডার আরও বলেন, “সমস্ত মুসলিমদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল লেবাননের জিহাদ ও আল-আকসা মসজিদের যুদ্ধে মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো।”