এই মুহূর্তে আর জি কর মামলার দিকে তাকিয়ে সব পক্ষ। আজ শিয়ালদা আদালতে প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে সশরীরে পেশ করা হবে। আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগে টাল থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। দাবি করা হয়, সঞ্জয়কে আড়াল করেছিলেন অভিজিৎ। এই আবহে বেশ কিছু তথ্যও হাতে আসে তদন্তকারীদের। উল্লেখ্য, চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধেই মূল মামলাটি দায়ের করেছে সিবিআই। আজ আদালতে এই মামলায় চার্জ গঠন হবে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার অভিজিৎ এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম এখনও চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সি বি আই আজ সঞ্জয়ের পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে শিয়ালদা আদালতে পেশ করতে পারে। তবে রিপোর্টে দাবি করা হল, সঞ্জয় রাইয়ের পিছনে যে সন্দীপ এবং অভিজিৎ ছিলেন, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে প্রমাণ জোগাড় করতে নাকি সমস্যায় পড়ছে সিবিআই। তবে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ বা দ্বিতীয় সপ্তাহেই সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চার্জশিট পেশ করতে হবে।
৯ অগস্ট সন্দীপ এবং অভিজিতের ফোন থেকে বহু ফোন গিয়েছে। সেই সব কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়েছে। তবে কোনও ভাবে সঞ্জয়ের সঙ্গে সরাসরি তাঁদের যোগাযোগ করার বিষয়টি সামনে আসেনি। এই আবহে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ প্রমাণ করতে সমস্যায় পড়বে সিবিআই। যদিও জুনিয়র ডাক্তার ও নাগরিক মহল মনে করছে যে শুধুই সঞ্জয় একা এই ঘটনা ঘটায় নি। এর পিছনে আছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষার থেকে বেরিয়ে এসেছে নানা তথ্য। এখন দেখার আজ সি বি আই নতুন কোন তথ্য সামনে আনছে।