বিরোধীরা বলছেন যে রাজ্যের আবাস যোজনা বাংলার সমস্ত দুর্নীতিকে ছাড়িয়ে যাবে। বিরোধীদের এই অভিযোগ কতটা সত্য তা নিয়ে সমাজতত্ত্ববিদেরা গবেষণা করুক। কিন্তু খালী চোখে আমরা যা দেখছি তা কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহের। ছবিতে উল্লিখিত প্রায় অট্টালিকা সম বাড়িটি মৃণালকান্তি ঘোষ। তিনি বর্ধমান জেলার একজন রেশন ডিলার। খবরে প্রকাশ, তার নাম আছে আবাস যোজনায়। এই বিষয়ে বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সবাই বুঝতেই পারছে বাংলার কী হাল! যারা পাওয়ার যোগ্য তারা থাকছে মাটির ঘরে, আর যাদের রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি তাদের জাতি বদল করে আবাসের তালিকায় নাম দেওয়া হচ্ছে।” এই খবর প্রকাশিত হতেই চারি দিকে জ্বলে ওঠে ক্ষোভের আগুন। কোথাও বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় একই ব্যক্তির একাধিকবার নাম কোথাও আবার মৃত ব্যক্তির নাম। কুঁড়ে ঘরে থাকে অথচ নাম নেই গরিব মানুষের, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উঠছে এই অভিযোগ। দুর্নীতি কোন পর্বে পৌঁছালে এটা সম্ভব তা সহজেই অনুমেয়।
মৃনাল কান্তি ঘোষের নাম প্রকাশ্যে আসতেই চারিদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তিনি থাকেন বিদবিহারের জামদহ এলাকায় এই বিলাসবহুল বাড়িতে । তারপরেও কীভাবে বাংলা আবাস যোজনায় নাম ঢুকল ওই ব্যক্তির সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে যখন সমীক্ষা হয়েছিল তখন যে ৭৭৪ জনের নাম তালিকায় ছিল, সেই তালিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সার্ভার থেকে মুছে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেগুলি আবার ফিরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, ওই তালিকায় অধিকাংশ নামের ব্যক্তিরই রয়েছে পাকা বাড়ি। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবাসের তালিকায় নাম থাকা রেশন ডিলারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তড়িঘড়ি বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়েন। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই ধরনের কারও নাম আবাসের তালিকায় থাকার কথা নয়। এই নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।