১৭৮ বছর আগে শুরু হয়েছিল ভূঁইয়া পরিবারের পুজো

বারো ভূঁইয়াদের এক বাংশধর ক্ষেত্র মোহন ভূঁইয়া ১৭৮ বছর আগে সপ্নাদেশ পেয়ে আলিপুর দুয়ারে শুরু করেন পুজো। সেই পুজোর জৌলুস অনেকটা কমে গেলেও, ঐতিহ্যময় সেই পুজো এখনও ধরে রেখেছে ভূঁইয়া পরিবার। মুঘল আমলে পূর্ব ভারতের শাসন সামলেছেন বারো ভুঁইয়ারা। সেই বারো ভুঁইয়াদের এক বংশধর ক্ষেত্রমোহন ভুঁইয়ার পারিবারিক পুজো বলেই পরিচিত আলিপুরদুয়ার জেলার পলাশবাড়ির এই দুর্গাপুজো। অবিভক্ত বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন ক্ষেত্রমোহন ভুঁইয়া। ১৭৮ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে সেখানেই দুর্গাপুজোর শুরু। সেই থেকেই চলেছে সেই পুজো।

পলাশ বাড়ির ভূঁইয়া পরিবারের পুজোর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। অমরা গিয়েছিলাম সেই পরিবারের মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে। পুজোয় দেবীর চক্ষুদান হয় ষষ্ঠীর দিন। পুজোর কদিন বাড়ির বউরা খোলা চুলে কোনও অলঙ্কার না পরে মন্দিরে প্রবেশ করেন। পরিবারের সদস্য রিনা ভুঁইয়া বলেন, “প্রতিপদে ঘট স্থাপন হয়। ষষ্ঠী পুজো পর্যন্ত দুবেলা ঘট পুজো। তামা পিতলের অস্ত্র, রূপোর পুজোর বাসন পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখার কাজ চলছে।” আবার ওই পরিবারের বাসুদেব ভুঁইয়া বলেন, “এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট রয়েছে। ঠাকুরের মুখের রং লাল, গণেশ, কার্তিকের অবস্থান উল্টো, স্বপ্নে পাওয়া দেবী। বাংলদেশের তৈরি কাঠামোয় পুজো হয়।” এলাকার মানুষ এখনও ওই পুজোর ভোগ পেয়ে থাকেন।

Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Popular News

Latest News

প্রকৃতি যে তার ভারসাম্য হারাচ্ছে, তার আরও একটা উদাহরণ সামনে নিয়ে আসলো এই শ্যামা পোকা! কালীপুজোতে শ্যামা পোকার তাড়নায় আমরা বিরক্ত হয়ে …

সামনেই একাধিক রাজ্যে উপনির্বাচন। ভোট প্রচার তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতেই ঝাড়খন্ডে রবিবার বিকেলে ভোট প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ আক্রমন করলেন ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের …

এখন তো ছোট ফ্ল্যাটের যুগ। আগের মতো অনেক জমি জায়গা থাকে না। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটকেই আমরা গাছ দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে …

নানা কারণেই মহিলাদের একটা বড়ো অংশ নানা শারীরিক সমস্যার ভোগেন। এর প্রধান কারণ পিরিয়ড চলা কালীন অতিরিক্ত রক্ত বেরিয়ে যাওয়া। মেয়েদের শরীরে …