কালীপুজো শেষ মানেই বাতাসের জগদ্ধাত্রী পুজোর আমেজ চলে আসে। এর মধ্যে অবশ্য ভাইফোঁটা ও ছট পুজো শেষ হয়। জগদ্ধাত্রী দেবীর সুন্দর রূপ দেখে চোখ ফেরাতে পারেন না ভক্তরা। প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্ল নবমীতে হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। দেবীর পুজো সবথেকে জনপ্রিয় চন্দননগর থেকে বেলুড় মঠে। যা দেখার জন্য লাখো লাখো ভক্ত সেখানে উপস্থিত হন। জগদ্ধাত্রী পুজো সব থেকেই জাঁক হতে দেখা যায় হুগলির চন্দননগরে। এখন অবশ্য কলকাতায় কম যাচ্ছে না। এখানকার মায়ের মূর্তির পাশাপাশি আলোর রোশনাই দেখার মতো, এখানকার আলোর কাজ, প্যাণ্ডেল নামকরা। যা দেখার জন্য অনেক ভক্তরাই সেখানে আসুন। অনেক জায়গাতেই মণ্ডপসজ্জা নয় প্রতিমা ও আলোকসজ্জাতেও থাকছে বিশেষ আকর্ষণ।
পঞ্জিকা জানাচ্ছে, চলতি বছর জগদ্ধাত্রী পুজো পড়েছে নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ। জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীতেই কিন্তু দেবীর মূল পূজোর আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আলাদা আলাদা আচারও রয়েছে। আর সেই আচার, নিয়ম মেনেই দেবীর পুজো করা হয়। জগদ্ধাত্রী পুজো ষষ্ঠী পুজো পড়েছে ৭ নভেম্বর, সপ্তমী পুজো পড়েছে ৮ নভেম্বর, অষ্টমী পুজো পড়েছে ৯ নভেম্বর, আর নবমীর তিথি পড়েছে ১০ নভেম্বর। এই দশমী তিথি পড়েছে ১১ নভেম্বর। মূলত প্রতিবছর দুর্গাপুজোর দশমীর দিন থেকেই কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোর কাঠামো পুজো করা শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যে চন্দননগরের রাস্তায় আলো লাগানো শুরু হয়ে গেছে।