ইসরাইল ও গাজার যুদ্ধ এখন ইসরাইল ও ইরানের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ফলে মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধ এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। এতদিন ছায়াযুদ্ধ চললেও, এবার সম্মুখ সমরে ইরান-ইজরায়েল। ইজরায়েলি এয়ারস্ট্রাইকে হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পরই যুদ্ধের আঁচ বেড়েছিল। বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। মঙ্গলবার সেই আক্রমণই শুরু হয়। ইজরায়েল লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১৮১টি ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। এই হামলার পরই পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এদিকে, যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকে বসেছেন। স্বাভাবিক কারণেই এই নতুন যুদ্ধ মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠছে সকলের কাছে।
সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে ইরান। তারা জেরুজালেম, তেল আভিভ লক্ষ্য করে দফায় দফায় ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ইরান। প্রায় ২০০-র কাছাকাছি মিসাইল ছুড়লেও, ইজরায়েলের অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের দৌলতে আয়রন ডোম, অ্যারো সিস্টেম প্রায় ১৫০-র কাছাকাছি মিসাইল প্রতিহত করেছে। তবে কিছু মিসাইল সেই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করেই আছড়ে পড়ে। প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের দ্রুত হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইরানের এই হামলার পরই জনগণকে মিসাইল বাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই হামলা চালিয়ে মারাত্মক ভুল করল ইরান। এর মূল্য চোকাতে হবে তেহরানকে”। ইরান কিন্তু তাতে মোটেই দমে যাওয়ার পাত্র নয়। এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হতেই ইজরায়েলে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে অ্যাডভাইসরি। ভারতীয়দের বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।