ঝড়ের চেয়েও সুন্দরবনের মানুষের কাছে যে মানুষটা দ্রুত পাশে গিয়ে দাঁড়ায় তিনি বাম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি। ভোটে হয়তো হেরেছেন কিন্তু মানুষের সঙ্গ ছাড়েন নি। তাই তো সুন্দরবন অঞ্চলে একটা প্রচলিত প্রবাদ -‘ঝড়ের আগে কান্তি।’ এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। ঠিক পৌঁছে গেলেন সেখানে। ওড়িশার ধামরায় বৃহস্পতিবার রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড়ের। তবে তার প্রভাবে অশান্ত থাকবে উপকূলের দুই জেলা। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে সেখানে নদী-সমুদ্র ধীরে ধীরে রূপ বদলাতে শুরু করলেও ঝড় সেভাবে এখন হচ্ছে না। আর দানা হানা দেওয়ার আগেই মুহূর্তেই এসে হাজির সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। আয়লা,আমফান,ইয়াস,রেমালের মতো বহু ঝড়-ঝাপ্টা সামলেছে সুন্দরবন। এখানকার মানুষ যেমন ঝড় চেনে। তেমনই চেনে কান্তিকেও। আর সেই চেনা একই ছবি। কান্তি গাঙ্গুলি বলেন, এই মানুষগুলো বড়ো অসহায়। তাদের পাশে না থাকলে আর আমি মানুষ কিসের!
রায়দিঘির কুমোড়পাড়ায় ঝড় মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি রয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ঘুরে দেখলেন নদী বাঁধ এলাকা। প্রান্তিক মানুষদের কষ্টের কথাও শুনলেন। ঝড়ের সতর্কতা হিসেবে পরামর্শও দিলেন।
বস্তুত, বাম নেতৃত্বের সেই দাপট আর নেই। তবে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় আজও সাধারণ মানুষ থেকে মৎস্যজীবীদের পাশে থেকে গিয়েছেন। কখনো নিজের তাগিদে, কখনো ডাক পেয়ে বিপন্ন মানুষদের কাছে ছুটে গিয়েছেন। বাম আমলে তিনি ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। তবে বর্তমানে মন্ত্রী বা বিধায়ক পদেও নেই। আগের মতো সামর্থ্যও আর নেই। তবুও আছেন মানুষের পাশে।