হিন্দু বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসন – শারদীয়া দুর্গোৎসব শেষ। আজ বিজয়া দশমী। ঘাটে ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। পুরোহিত দেবী বিসর্জন দেওয়ার পরেই শুরু হয়ে যাবে মহিলাদের দেবী বারণ ও সিঁদুর খেলে। কিন্তু কি কারণে এই বারণ ও সিঁদুর খেলার প্রচলন? এর পিছনে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি। আর সেখান থেকেই উঠে এসেছে সিঁদুর খেলার একাধিক কারণ। এই বিষয়ে তিনটি মত খুব প্রচলিত –
১) দেবী দুর্গার সঙ্গে মহিষাসুরের লড়াই চলেছিল টানা নয় দিন। নয় দিন যুদ্ধের পরে এই বিজয়া দশমীতেই তিনি জয়লাভ করেন। ফলে এই দিনটি উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে সিঁদুর খেলা হয় বলে মত অনেকের। অনেকের মতেই এই সিঁদুর আসলে বিজয়ের প্রতীক।
২) অনেকের মতে, যেহেতু সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক, তাই বিবাহিত নারীদের কাছে সিঁদুর খেলার অর্থ হল ব্রহ্মের আশীর্বাদ পাওয়া। আর সেটি পেলে স্বামী এবং সংসারের মঙ্গল হয়। সেই কারণেই তাঁরা সিঁদুর খেলেন।
৩) আর এক মত হল, দেবী দুর্গা যেহেতু বিবাহিতা, তাই তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে বিদায় জানানোর সময়ে সিঁদুর পরিয়েই দেওয়াই নিয়ম। আর সেখান থেকেই সিঁদুর খেলার জন্ম। তার সঙ্গে মিষ্টিমুখ করানোর রেওয়াজ বলেও মনে করা হয়।