এ একেবারে ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ’। শুরু হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে দিয়ে আর জি কর হসপিটালের দুর্নীতির তদন্ত। আর সেই প্রসঙ্গেই চলে আসলো সারা বাংলার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের দুর্নীতি। আর আরজি করের দুর্নীতির তদন্ত করতে করতে অন্য সব মেডিক্যাল কলেজেও দুর্নীতির সুতো ঝুলতে দেখে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বাংলায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা হতে পারে। দাবি করা হয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত সংক্রান্ত শেষ যে স্টেটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা করা হয়েছে, সেখানে বাংলার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৃহত্তর দুর্নীতির উল্লেখ রয়েছে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই গত ১০/১২ বছরে শিক্ষা, খাদ্য, পৌরসভা, বনদপ্তর থেকে শুরু করে সর্বত্র দুর্নীতির পাহাড়।
এবার স্বাস্থ্য দপ্তরের পাহাড়ের আরও এক দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। এই দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। চার্জশিট পেশ করা হবে বলে সম্প্রতি আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল ছাত্র নেতা তথা চিকিৎসক আশিস পাণ্ডেও। সিবিআইয়ের দাবি, আরজি কর ছাড়াও অন্যত্র দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ এবং আশিস পাণ্ডে। এদিকে আরজি কর দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ব্যবসায়ী সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহ। দাবি করা হচ্ছে, ২০১৪ সালে রাজ্য সরকারের নীতি বদলের জেরে হাসপাতালগুলিতে ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছিল। এই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভবনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ কমে গিয়েছিল। এই আবহে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালেই দুর্নীতি চক্র গড়ে উঠেছে।