বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ পরিষদ এবার পুজোতে প্রতিবাদের সামিল হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মণ্ডলের সদস্য, রঞ্জন কর্মকার বলেছেন, “এই বছর, আমরা শুধু পুজোটাই করব। কোনও উদযাপন হবে না। এটা হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক ধরনের প্রতিবাদ। এই বছরের অগস্ট থেকে আমাদের সম্প্রদায়ের উপর ক্রমাগত হামলার পর, হিন্দুও কোনও ধরনের উৎসব করার মতো মানসিকতাতেও নেই। তাছাড়া, অনেক পুজোর আয়োজকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তোলা চাওয়া হয়েছে।” ফলে এবার বাংলাদেশের পুজোতে নেই আড়ম্বর নেই জৌলুস।
ওপার বাংলাতেও দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে প্রতিবাদের আবহ। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে সমস্ত হামলা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাতে সেই দেশের হিন্দুরা দুর্গাপুজোকেই বেছে নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই বছর দুর্গাপূজা হবে নমো-নমো করে, কোনও উদযাপন হবে না। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের চেয়ারপার্সন, বাসুদেব ধর জানিয়েছেন, সরকার তাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেও দুর্গাপূজায় কোনও উৎসব বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তিনি বলেছেন, “আমরা সমস্ত পুজো আয়োজকদের ব্যানার প্রদর্শনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছি। এই ব্যানারগুলিতে আমাদের দাবিগুলি তালিকাভুক্ত করা হবে।” সব মিলিয়ে বাংলাদেশে নেই পুজোর উৎসব।