মানুষের স্মৃতি থেকে আয়লার স্মৃতি মুছে যায় নি। ২০০৯ সালের সেই অভিশপ্ত আয়লা। এবারও কি ‘দানা’ তেমন কোনো রূপ নিয়ে আসছে? সোমবার পর্যন্ত আবহবিদদের ধারণা, তার সমতুল গতি নিয়েই বাংলা-ওডিশা উপকূল লক্ষ্য করে এগিয়ে আসবে ‘দানা’। আবহবিদদের অনুমান, ল্যান্ডফলের সময়ে ‘দানা’ নিজের অক্ষের চার দিকে সে দিনের ‘আয়লা’র মতোই ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ঘুরতে থাকবে। অর্থাৎ ‘আয়লা’র মতো ‘দানা’র ক্ষেত্রেও ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে। তাহলে ক্ষয় ক্ষতি হয়তো আয়লার মতোই হতে পারে। এখনও পর্যন্ত মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ‘দানা’র ল্যান্ডফলের সম্ভাব্য সময় ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর ভোরের মধ্যে। ল্যান্ডফলের সম্ভাব্য এলাকা পুরী থেকে সাগরদ্বীপের মাঝের কোনও জায়গা। সকলেই উদ্বিগ্ন।
সমস্ত শক্তি নিয়ে বাংলা ও ওড়িশার প্রশাসন নেমে পড়েছে ময়দানে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা এখনও রয়েছে পুরোমাত্রায়। এ
দিন সকালে মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেন, ‘আন্দামান সাগরে যে নিম্নচাপটি জন্ম নিয়েছিল, সেই নিম্নচাপ সোমবার বেলা ১১টা ৩০ নাগাদ শক্তি বাড়িয়ে ‘সুস্পষ্ট নিম্নচাপ’-এ পরিণত হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার সকালে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে ‘গভীর নিম্নচাপ’-এ পরিণত হবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র রূপ নেবে।’ফলে শঙ্কিত মানুষ। এর পর ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগোতে শুরু করবে। সমুদ্রের উপর দিয়ে ওই পথে কয়েকশো কিলোমিটার এগোলেই ‘দানা’-র সামনে পড়বে ওডিশা ও বাংলার প্রাকৃতিক ভাবে পুরোপুরি অরক্ষিত উপকূল। মূল ভুখন্ড থেকে দানা এখন ৬০০ কিমি দূরে আছে। এই বিশাল পথ অতিক্রম করার সময় সে প্রচুর শক্তি বাড়িয়ে নেবে। ফলে তার রূপ হতে পারে ভয়ঙ্কর।