কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো এমন সিনিয়র একজন রাজনীতিকের কাছ থেকে আরও কিছুটা সহানুভূতি আশা করা গিয়েছিল। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের আনশন প্রসঙ্গে ব্যঙ্গের সুরে তিনি বলেন, ‘কীসের অনশন। এখন তো অনশন হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত। আমরণ অনশন তো নয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দেখলাম একজন অনশন শুরু করেছে। বিকালেই চলে গেল হাসপাতালে। দমই নেই। ওরা মানুষের সেবা করতে আসেনি। নিজেদের ব্যাপারটা গুছিয়ে নিতে এসেছে।’ এখানেই না থেমে আরও কিছুটা এগিয়ে বলেন, ‘কিছু সিনিয়র ডাক্তার আছে, মাকু পার্টি আছে। বলছে সবাই আসতে পারে, রাজনৈতিক নেতারা আসতে পারবে না। নেতারা এলে চিহ্নিত হয়ে যাবে। কত রগড় দেখব। মানুষ এদের কাউন্টই করছে না। …এরা ডাক্তার হওয়ার অযোগ্য। ডাক্তাররাও মানুষদের খ্য়াপাচ্ছে।’ স্বাভাবিক কারণেই এই আক্রমন প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের।
এই নিয়ে তীব্র ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকিৎসকেরা। জুনিয়র চিকিৎসকের পক্ষ থেকে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘তিনি চেয়েছিলেন যে অনশনকারীরা এখানে বসে মরে যাক। তাই তো! এটাই তো উনি চান? দম ধরে রাখার কথা বলে তিনি কী বোঝাতে চাইলেন। যে এখানে বসে থেকে… আমরা যখন দেখব যে এখানে অনশনকারীরা মরে যাচ্ছে, তখনও আমরা হস্তক্ষেপ করব না। এটাই উনি চান। এই প্রশ্ন বরং তাঁকেই করা হোক, যে দম ধরে রাখা মানে কী? আমরা অনশন করছি। এখানে কেউ চকোলেট, স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করছে না। আমরা জানি এখানে অনশন করলে কার শরীরে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে।’ নাগরিক মহল প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংসদের এই মন্তব্যে।