আজ বিকেল পাঁচটায় ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ – আয়োজক সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’

ঘোষণা বেশ কিছুদিন আগেই হয়েছে। এবার কার্যে পরিনত করার পালা। পুজোর পরে রাজ্য সরকার কত কয়েক বছর ধরেই করে ছেলেছেন ‘পুজো কার্নিভাল।’ কিন্তু তিলোত্তমা কাণ্ডের পরে, এ বছর পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। এবার একাধিক চিকিৎসক সংগঠন ডাক দিয়েছে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। কেন্দ্রীয় ভাবে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ হবে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টেয়। ধর্মতলায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। কিন্তু আয়োজক সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’ চায় চলতি সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হোক আরও ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। সংগঠনের তরফে সোমবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সে কথা জানানো হয়েছে। আয়োজক সংস্থার ব্যাখ্যা— ‘‘দূরবর্তী জেলা বা মহকুমা থেকে ক্ষোভের আগুনে দগ্ধ অসংখ্য মানুষের এই কেন্দ্রীয় কার্নিভালে অংশগ্রহণ করা স্বাভাবিক কারণেই কষ্টসাধ্য। তাই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত গণতান্ত্রিক চেতনাদৃপ্ত সহনাগরিক, সাধারণ জনগণ এবং সমস্ত সামাজিক সংগঠনের কর্মীদের কাছে আবেদন রাখছে।’’ এতে উজ্জীবিত হয়েছে দূর দূরান্তের বহু চিকিৎসক সহ প্রতিবাদী মুখ।

একথা ঠিক, সকলে পক্ষে কলকাতায় এসে দ্রোহের কার্নিভালে অংশ নেওয়া সম্ভব না। রাজ্য সরকার যেমন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুজো কার্নিভাল করে, ঠিক সেভাবেই এবার হতে চলেছে -‘দ্রোহের কার্নিভাল।’ চিকিৎসক সংগঠনের আবেদনে বলা হয়েছে— ‘‘আপনার স্বকীয় এলাকায় চিকিৎসক-সহ সমস্ত পেশার স্থানীয় প্রতিনিধি, সংস্কৃতিকর্মী এবং যত বেশি সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করে এই সপ্তাহের মধ্যে সুবিধামতো দিন, সময়, স্থান নির্বাচন করে দ্রোহের কার্নিভাল সংগঠিত করুন।” মূল কথা হলো দ্রোহের সুর সারা বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়া।

Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Popular News

Latest News

ভারতীয় প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে মিলে আছে ৪ হাজার বছর আগের সিন্ধু সভ্যতার যুগ। এবার মানুষের সামনে তাই তুলে ধরতে চলেছে গুজরাট সরকার। …

আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। হিন্দু বাঙালিরা ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্যস্ত। লক্ষ্মী বিনা সারা জগৎ অচল। আর লক্ষ্মীও বেশ চঞ্চলা। কোথাও অধর্ম, …

মুকেশ আম্বানি নিজেই একটা ইনডাস্ট্রি। বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের। চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, টেলিকম- সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি। মুকেশ …

পাহাড় মানেই একরাশ আনন্দ। পাহাড়ের প্রতি বাঁকেই আছে নতুন জগৎ। তাই পাহাড় মানেই নতুন উন্মাদনা। তবে এখন একটু অফবিট ভ্রমণের দিকে ভ্রমণ …