বীরভূমের ‘অনুব্রত মন্ডল’ – এই নামটাই যথেষ্ট। বছর দুই জেলে কাটিয়ে কন্যাকে নিয়ে কিছুদিন আগেই গ্রামে ফিরেছেন। এবার তিনি অনেক শান্ত। তার শরীরী ভাষায় নেই সেই ‘চড়াম চড়াম’ শব্দ। শুক্রবার গ্রামের বাড়ির পুজোতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ তিনি মণ্ডপের বাইরে বসেছিলেন। তিনি বলেন, গ্রামের পুজোয় এসে খুব ভালো লাগছে। তবে মন্দিরে উঠতে পারব না। অঞ্জলিও দিতে পারব না। আমার কাকা মারা গিয়েছে তো তাই! বাইরে থেকে প্রণাম জানালাম দেবী দুর্গাকে। গত মাসেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তার কিছুদিন আগে জামিন পেয়েছিলেন মেয়ে সুকন্যাও। তবে বীরভূমে ফেরার পরে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি অনুব্রতকে। বলা যায় কিছুটা এড়িয়েই যাচ্ছেন। তবে এদিন গ্রামের পুজোতেও তিনি বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন। পরনে পায়জামা, পাঞ্জাবি। মেয়ে পরেছিলেন শাড়ি।
সিবিআইয়ের চোখে তিনি ছিলেন গরু পাচারকারী। তবে স্থানীয়দের চোখে কারোর কাছে তিনি কেষ্ট কাকা, কারোর কাছে তিনি কেষ্ট দা, কারোর কাছে অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় দুবছর তিনি জেলে ছিলেন। তবে এবার তিনি জামিনে মুক্ত। তবে জামিনে মুক্তি পেলেও তিনি বিতর্কিত কোনও মন্তব্য আর করতে চান না। একটা সময়ে তিনি চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসার জন্য বিশেষ নাম করে ফেলেছিলেন। বীরভূম তৃণমূলের শেষ কথা যে এখনও সেই কেষ্ট মণ্ডলও সেটাও স্বীকার করেন তিনি। তবে অনেকের মতে,জেল থেকে বের হওয়ার পরে আগের দাপট কিছুটা হলেও কমেছে তাঁর।